ধানের উন্নত জাত নিতে চায় নেপাল
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৪১
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নত জাত নিতে এবং কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) সই করতে চায় নেপাল।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র জানান, নেপালের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। কিন্তু নেপাল চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বরং বছরে অনেক চাল আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চাল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি ধানের জাত নিতে চায় নেপাল। এছাড়া, বিভিন্ন ফসল, বীজ, উন্নত জাত, প্রযুক্তি, গবেষণাসহ কৃষির বিভিন্নক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারক’ সই করা প্রয়োজন।
আদা, এলাচিসহ গরম মসলা বাংলাদেশে সরাসরি রফতানির আগ্রহ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, ‘বর্তমানে ভারত হয়ে এসব পণ্য বাংলাদেশে আসে। ফলে বাংলাদেশে দাম অনেক বেড়ে যায়। সরাসরি বাংলাদেশে আসলে দাম অনেক কম পড়বে।’
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের পিটিএ চুক্তি সই হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে নেপাল ভুটানের সঙ্গে পিটিএ চুক্তি সই করেছে। দ্বিতীয় দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিটি সই হবে। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কানেক্টিভিটিকে আরও শক্তিশালী ও বাড়াতে উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
এদিকে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। কৃষির অগ্রগতির ফলেই দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান অব্যাহত রয়েছে। দেশে ১০০টির বেশি উন্নত জাতের ধান ও প্রযুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো মেগা ভ্যারাইটি। নেপাল এজাতগুলো বাংলাদেশে থেকে নিতে পারে। এছাড়া দুদেশের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারকে’ বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নেপাল বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব মাকছুমা আকতার, ঢাকার নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম