চট্টগ্রামের ডানকান পাহাড় এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণে স্থগিতাদেশ
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:২৮
ঢাকা: চট্টগ্রামের ষোলশহরে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন ডানকান পাহাড় এলাকায় পাহাড় ও গাছকাটা এবং বহুতল ভবন নির্মাণের সকল কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও চট্টগ্রামের বাসিন্দা সজল মল্লিকের করা এক রিট আবেদনে শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী মো. গোলাম সারোয়ার।
আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কাজী আকতার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান সাকিল ও মো. গোলাম সারোয়ার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় এবং গাছ কেটে বহুতল নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ ও বন সচিব, ভূমি সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক, দ্য সানমার প্রপার্টিজ লিমিটেডকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘ডানকান হিলে স্যানম্যারের ২৫ তলার দুই টাওয়ার!’ শিরোনামে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশে গত বছর ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ষোলশহর বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডানকান হিল কেটে ২৫ তলার দুই টাওয়ার নির্মাণের আয়োজন করেছে স্যানমার! নগরীর অন্যতম খ্যাতনামা আবাসন কোম্পানি সানমার প্রপার্টিজ এই টাওয়ার নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে শতাধিক গাছ সাবাড় করেছে, আরও গাছ কাটার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে মাটি কেটে চলছে নির্মাণ প্রক্রিয়া। অথচ গাছ কাটার জন্য বন বিভাগ থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি এবং পাহাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকেও কোনো ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই