Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবরার হত্যা: মার্চে হতে পারে রায়

আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসেপন্ডেন্ট
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৫২

আবরার ফাহাদ

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ বছরের মার্চ মাসে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে আশাবাদী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে মামলাটি। মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামানের জবানবন্দিও ৩১ জানুয়ারি গ্রহণ করেছে আদালত।

বিজ্ঞাপন

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা জানান, মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের- ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর আসামিরা চাইলে সাফাই সাক্ষীও দিতে পারেন। সাফাই সাক্ষীর পর যুক্তিতর্ক। যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণার দিন ঘোষণা করবেন আদালত।

তিনি বলেন, ‘মামলার কার্যক্রম যে গতিতে চলছে, তাতে আশা করছি আগামী মার্চ মাসে রায় ঘোষণা করতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল।’

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলা যায় না। আসামিদের উদ্দেশ্য ছিল না আবরারকে হত্যা করার। এটা একটা এক্সিডেন্ট বলা চলে। আশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন।

নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড আশা করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো কার্যকলাপ যেন না হয়, সেই প্রত্যাশা করি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন, আর কোনো বাবা-মায়ের বুক যেন খালি না হয়। ছেলের মৃত্যুর পর তার মায়ের অবস্থা ভালো না। আমিও ছেলের রায়ের জন্য ৫ মাস ঢাকায় অবস্থান করছি।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর প্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভূত ছয়জন। এজাহারভূক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহার বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আটজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।

সারাবাংলা/এআই/এএম

আবরার ফাহাদ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর