কে হবেন ঠাকুরগাঁওয়ের পৌর পিতা?
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৩১
ঠাকুরগাঁও: আর মাত্র ১১দিন পরেই ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচন। এ নিয়ে শহর জুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা, কে হবেন এই পৌর পিতা? প্রথম সারির এই পৌরসভা নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী মেয়র পদের জন্য লড়ছেন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আঞ্জুমান আরা বন্যা, বিএনপির শরিফুল ইসলাম শরিফ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। অন্যদিকে ১২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৫৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ১৯৯৭ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬০ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৩১ হাজার ১৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ২৯ হাজার ৭১২ জন।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিন-রাত প্রচার ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। পাড়া-মহল্লায় ঝুলছে পোস্টার এবং শহরের প্রতিটি অলিতে-গলিতে চলেছে মাইকিং। আর কনকনে ঠান্ডায় ছুটে চলেছেন মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা, আর দিয়ে যাচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে এমন প্রার্থীকে এবার বেছে নিতে হবে। বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন অনেকে। তবে পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় বিবেচনায় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াটা সঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন অনেকেই।
পৌর শহরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা সামসুজ্জামান বলেন, গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় শহরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে, ভরে গেছে খানা-খন্দে। অধিকাংশ রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পরই ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। এমনকি পৌরভবনসহ পৌরসভা-নিয়ন্ত্রিত হাটবাজার ও বাস টার্মিনাল গুলোরও সংস্কার হয়নি।
সামসুজ্জামানের মতো আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা শমসের আলমসহ অনেকে একই কথা বলেন। অটোরিক্সা চালক শামসুল আলম ও রবিউল ইসলাম বলেন, এমন প্রার্থীকে ভোট দেয়া উচিত যার দ্বারা পৌরসভার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে।
নির্বাচিত হলে পৌরসভার উন্নয়নে কী করবেন- মুঠোফোনে এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে যেদিন বসব সেই দিনেই এ বিষয়ে কথা বলব।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বন্যা জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রীর শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। একইসঙ্গে পৌরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
সারাবাংলা/এনএস