খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:১৭
ঢাকা: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ এ সংক্রান্ত নীতিমালা, গাইডলাইন, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে জাপানি প্রতিষ্ঠান জাইকার সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে সরকার। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই কারিগরী সহায়তা প্রকল্পে স্বাক্ষর করে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার এবং জাইকার পক্ষে জাইকার প্রতিনিধি মি. ইউহো হায়াকাওয়া রেকর্ড অফ ডিসকাশনে সই করেন।
এই চুক্তির আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, বিভিন্ন প্রকার নীতি প্রণয়ন, এসওপি বা মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন, যুগোপযোগী গাইডলাইন নির্মাণ, কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ প্রণয়ন, বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন এবং বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ ব্যক্ত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা অর্জন করার জন্য জনবলের দক্ষতা; কারিগরি জ্ঞান; ট্রেইনিং এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. নাওকি ইতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে নজর অ্যাপসের মাধ্যমে রাজধানীর নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁর দুটি আউটলেট ও ফার্স রেস্তোরাঁয় মনিটরিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এসময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. নাওকি ইতো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার।
সারাবাংলা/জেআর/এমআই