মেক্সিকোতে হত্যার অভিযোগে ১২ পুলিশ গ্রেফতার
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৬
মেক্সিকোর উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য তামাউলিপাসে ১৯ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। খবর রয়টার্স।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তামাউলিপাসের অ্যাটর্নি জেনারেল ইরভিং ব্যারিওস জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে কামারগোর ওই হত্যাকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের অন্তত ১২ সদস্য জড়িত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তামাউলিপাস রাজ্য পুলিশের একজন মুখপাত্র পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তিনি রয়টার্সকে অ্যাটর্নি জেনারেলের বিবৃতি দেখতে বলেন তিনি।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ১৯ জনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত মাত্র চার জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন গুয়াতেমালা থেকে আসা অভিবাসী, বাকি দুইজন মেক্সিকান। এদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানুয়ারির প্রথমদিকে রাজ্যের কামারগো শহরে গুয়াতেমালার অভিবাসীসহ ১৯ জনের লাশ পাওয়া যায়। তারা নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। গুলিবিদ্ধ মরদেহগুলো একটি অগ্নিদগ্ধ গাড়িতে পাওয়া যায়। গাড়িটির গায়েও অনেকগুলো গুলির চিহ্ন ছিল।
অন্যদিকে, মৃতদের মধ্যে তাদের আরও লোকজন থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে গুয়াতেমালার বেশ কয়েকটি পরিবার। তাদের এসব প্রিয়জন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ঘটনাস্থলে পাওয়া আগুনে পোড়া গাড়িটির মেক্সিকান মালিকও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বলে কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে তামাউলিপাসের প্রতিবেশী রাজ্য নুভো লিওনে ৬৬ অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটকের সময় তার পিকআপ ট্রাকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে গাড়িটি ছেড়ে দিয়ে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যাকে জেসান এম নামে শনাক্ত করা হয়েছে। মৃত অপর মেক্সিকানকে ড্যানিয়েল পি বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন।
গাড়িটি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী একটি গ্রামীণ এলাকায় অপেক্ষা করার সময় হামলার শিকার হয়।
সারাবাংলা/একেএম