লাইটিংকর্মীই শমীর ফোন চুরি করে
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:০৬
ঢাকা: অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকা মানহানি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই‘র পুলিশ পরিদর্শক গত ৩১ জানুয়ারি আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, কেক নিয়ে আসা লাইটিংকর্মী শমী কায়সারে ফোন দুটি চুরি করে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার বাদী শুনানির সময় না থাকায় আগামী ৪ মার্চ পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্স ভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট “বিন্দু ৩৬৫” এর উদ্বোধনকালে আনুমানিক বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত মিডিয়াব্যক্তিত্ব শমী কায়সার অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষ করেন। এরপর কেক কাটার সময় হঠাৎ করে জানান যে, তার স্মার্টফোন ২টি পাওয়া যাচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে মিলনায়তনে হৈ চৈ পড়ে যায়। মিলনায়তনের মূল প্রবেশ দরজা বন্ধ করে দেয় আয়োজকরা। ওই সময় আয়োজকরা সবার দেহ তল্লাশি করার কথা বললে উপস্থিত সকলে সম্মতি জানান। কেউ কেউ তল্লাশির শর্তে বের হয়ে যেতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা বের হতে নিষেধ করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শমী কায়সার তার ২টি স্মার্টফোন হারিয়ে মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েন। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি কিছুটা বিব্রত বোধ করেন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ফুটেজ চেক করে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা একজন লাইটিং কর্মী ফোন ২টি চুরি করে নিয়ে গেছে। এরপর ঘটনাটি নিয়ে শমী কায়সার মঞ্চে গিয়ে তল্লাশির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তার ফোন ২টি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানকালে শমী কায়সার কর্তৃক বাদীকে বা উপস্থিত কোনো সাংবাদিককে বা উপস্থিত অন্য কোনো ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে ‘চোর’ বলে মন্তব্য করা, আটক করে রাখা, আটক করে তল্লাশি করা বা তল্লাশি করার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, সাক্ষী ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় নাই।
বলা হয়, বাদী নিজেও এইরূপ কোনো ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন নাই। এই সংক্রান্ত কোনো ধরনের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করতে পারেন নাই। বাদীর অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনাটি অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা রক্ষীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়াবাড়ির কারণে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা হিসেবে অনুসন্ধানকালে প্রকাশ পায়। অনুসন্ধানকালে গৃহীত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাদীর আনিত মানহানির অভিযোগ বিবাদীর বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ৫০০ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হয় নাই।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বাদী স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাছান পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি পিটিশন দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
সারাবাংলা/এআই/এসএসএ