‘ভ্যাকসিন নিলেও দয়া করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন’
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:১৬
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও আপনারা সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষাটা দয়া করে মেনে চলবেন। ভ্যাকসিন আমাদের সকলেই পাবেন, সে ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত ‘১০০ কৃষি প্রযুক্তি এটলাস’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। করোনাভাইরাসে যদিও আমরা একটু থমকে দাঁড়িয়েছি কিন্তু করোনার সময় আমার যেটা নির্দেশ ছিল যে যেভাবে পারেন, খাদ্য উৎপাদন করেন। খাদ্যে যেন অভাব না হয় বরং অন্য দেশকে আমরা খাদ্য সহায়তা দিতে পারি। সেইভাবেই আমাদের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।
কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং জাতির পিতার যে স্বপ্ন; সেই স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে চাই। আমরা ২০২০ সালে মুজিববর্ষ পালন করা শুরু করেছি। ২০২১’ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কাজেই আমরা আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো। করোনাভাইরাসের সময় আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই এটা আমরা করবো। ভ্যাকসিন এসে গেছে এবং এই ভ্যাকসিন আমাদের সকলেই পাবেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা পাবেন, প্রত্যেকেই পাবেন, সে ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এর মাঝেও আমাদের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে। যেন কখনো এদেশের মানুষের খাদ্যের কোনো অভাব না হয়। সেইসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী; এটা সামনে রেখে বাংলাদেশে যত মানুষ যারা ভূমিহীন-গৃহহীণ তাদের সকলকেই একটা ঘর তৈরি করে দেব, একটা গৃহ দেব। একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সময়ে শতভাগ বিদ্যুৎ প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা পুর্নব্যক্ত করে বলেন, গ্রিড লাইন যতদূর আছে সেখানে কিন্তু আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি ইতোমধ্যেই। কিন্তু কিছু কিছু দীপাঞ্চল বা দূরবর্তী অঞ্চল আছে, সেখানে সোলার প্যানেল দিচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমেও তাদেরকে বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছি। কাজেই প্রতিটি ঘর আলোকিত হবে। আর প্রতিটি গৃহহীন ভূমিহীন মানুষরা গৃহ পাবে। মুজিববর্ষে অনেক অনুষ্ঠান আমরা করতে চেয়েছিলাম, পারিনি। কিন্তু এটাই আমাদের সবথেকে বড় কর্মসূচি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে উর্বর মাটি সেটাকে ব্যবহার করেই দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করব। কারও কাছে হাত পেতে নয়। আমরা নিজেদের অর্থায়নে আমাদের বাজেট করছি। কাজেই আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বাঙালি চলবে। আমরা বিজয়ী জাতি, হিসাবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম ও বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই