Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন করোনা সংক্রমণ কমায়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৪৫

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন এক ডোজ নিলেই করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়, এমন দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের কয়েকজন গবেষক। খবর ডয়চে ভেলে।

নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওই ভ্যাকসিন এক ডোজ নিলেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা পাওয়া যায়। শুধু যে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে তাই নয়, অন্য যে কোনো ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়। আর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২ সপ্তাহ পরেও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সমীক্ষা বলছে, যারা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তারা করোনার হাত থেকে বাঁচছেন। সাধারণত ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অনেক সময় তারা অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়ানোর কাজটা করতে পারেন। কিন্তু, কোভিশিল্ড নিলে শুধু যে তিনি সুরক্ষিত থাকছেন তাই নয় তার কাছ থেকে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমনের সম্ভাবনাও দুই-তৃতীয়াংশ কমে যাচ্ছে। তবে, এক ডোজ ভ্যাকসিনে করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা পাওয়া যাবে না। কিন্তু, তারা গুরুতর অসুস্থও হবেন না বলে গবেষকদের দাবি।

এক ডোজ ভ্যাকসিন নিলে দুই মাসের জন্য ৭৬ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তবে তাদের গবেষণার রিপোর্ট হলো, একবার ভ্যাকসিন নিলে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত তার সুফল পাওয়া যাবে।

যেকোনো ভ্যাকসিনেরই সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। যেমন: শরীরে ইনজেকশন দেয়ার স্থানটি লাল হয় বা ফুলে যায়। তিনদিনের মধ্যে অবসাদ, জ্বর, মাথা ব্যাথা, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা হতে পারে। তবে এর কোনটিই দীর্ঘস্থায়ী নয়। শরীরে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা শুরু হলে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ায় এমন প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। অনুমোদন পাওয়া করোনা ভ্যাকসিনগুলোর ক্ষেত্রেও এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে৷

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হননি। সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মেনে পাঙ্গালোস জানিয়েছেন, তাদের তথ্য বলছে প্রথম ডোজের ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিলেই চলবে।

অক্সফোর্ডের সমীক্ষার ফলাফল এবার পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তবে যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দেরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আগে যত বেশি সম্ভব মানুষকে প্রথম ডোজ দিতে চাইছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ইতোমধ্যেই ওই গবেষণার ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ইউরোপে সবচেয়ে বেশি করোনা ছড়িয়েছে যুক্তরাজ্যেই। সেখানে এক লাখ আট হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছেন। দেশটিতে অক্সফোর্ড ছাড়াও ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে, অক্সফোর্ড পরিচালিত এই সমীক্ষায় ফাইজার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা দেখা হয়নি।

সারাবাংলা/একেএম

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন করোনা কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর