৮ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানা ঘেরাও করবে হকার্স ইউনিয়ন
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:২১
ঢাকা: নয়াপল্টন চায়না টাউন মার্কেটের মালিক বেলালকে গ্রেফতার ও হকার্স নেতা দেলোয়ার হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে হকার্স ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইউনিয়নের নেতারা।
ঘেরাও কর্মসূচির পাশাপাশি তারা ৫ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হচ্ছে- পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না, হকার আইন প্রণয়ন করতে হবে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী গডফাদার বেলালকে গ্রেফতার করতে হবে।হ কারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। চায়না টাউন মার্কেটে হকারদের দোকান বরাদ্দ দিতে হবে এবং হকার্স নেতা দেলোয়ারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা সেকেন্দার হায়াৎ। উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আলম মামুন, শাহিনা আক্তার, রাকিব হোসেন, ফারুক হোসেন, মোস্তফাসহ অন্যরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২০ এর মার্চ মাসে করোনার মহামারির থাবায় হকাররা লকডাউনে গৃহবন্দি হয়। ওইসময় সংগঠন থেকে ১০ হাজার হকারের তালিকা প্রণয়ন করে সিটি করপোরেশন, ডিসি অফিস, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু কোন জায়গা থেকে হকারদের রেশন কার্ড, আর্থিক সহযোগিতা, ত্রাণ দেওয়া হয়নি। শীতের মৌসুম হকারদের বেচাবিক্রির উত্তম সময়, হকাররা ধার-দেনা করে, মহাজনের নিকট থেকে, বিভিন্ন সমিতি থেকে চড়া সুদে লোন নিয়ে শীতের মালামাল কেনাবেচা করছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে চায়না ডেভেলপারের মালিক ও তার বাহিনী হকারদের কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়, দোকানপাট ভাঙচুর করে, ভয়ভীতি দেখায়।
এসময় আরও বলা হয়, মার্কেটে দোকান পাওয়ার আশায় গত ৩০ বছর ধরে বেলালকে মাসিকভিত্তিতে টাকা দিয়ে আসছে যা কয়েক কোটি টাকা হয়েছে। চায়না টাউন মার্কেটের স্থাপনার কাজ শেষের দিকে। বেলাল সাহেবের নিকট হকাররা দোকান চাইলে উল্টো তাদের ৩০ বছরের আত্মকর্মসংস্থান থেকে উচ্ছেদ হতে হয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে গভীর বিপাকে পড়েছে হকাররা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও