মিতুর পলাতক ‘খুনিদের’ গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে, হাইকোর্টে প্রতিবেদন
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৪৭
ঢাকা: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। পরে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মামলার পলাতক দুই আসামিকে খুঁজে বের করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্তও প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতকে এসব জানান। পরে আদালত এই মামলার শুনানি মুলতবি করে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি, এই মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও সময় প্রয়োজন। আদালত তিন মাস সময় দিয়েছেন। তিন মাসের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।’
এর আগে, ৩০ জানুয়ারি এ হত্যা মামলায় তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। এক আসামির জামিন শুনানিকালে এই আদেশ দেন আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন- আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে জানান, তার মক্কেল (ওয়াসিম) সাড়ে চার বছর ধরে জেলে আছেন। আসামি মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার আবদুন নবীর ছেলে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল তখন।
গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে