‘গৃহহীনদের মানসম্মতভাবে বাঁচার অধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:১২
নারায়ণগঞ্জ: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মানসম্মতভাবে বাঁচার অধিকার দিয়েছেন। এখানে আশ্রয়প্রাপ্তদের জীবনমান উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট করে দেওয়া হবে। নদীর পাড়ে খেলার মাঠ হবে। পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের বাসিন্দারা সবকিছু পাবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘মুজিব বর্ষ ভিলেজ স্বপ্ননীড়’ আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়ার দড়িকান্দি এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ‘স্বপ্ননীড়’ গড়ে তোলা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, সরকারের সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আগামীতে দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় রূপগঞ্জ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪৯৮টি পরিবার পেয়েছেন দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য আশ্রয়হীন মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চান। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিয়ে জমি দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা। এ বাংলা তার নেতৃত্বেই বদলে যাচ্ছে। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু উপকারভোগীদের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপকারভোগী গৃহহীন ও ভূমিহীনরা জানান, জমি ও বাড়িঘর না থাকায় তারা আগে অনেক কষ্ট করে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। পাকা ঘর পেয়ে খুশি হতদরিদ্র এসব পরিবার। এখন সুখে-শান্তিতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বসবাস করছেন। তাই সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট এসব সেমিপাকা বাড়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপগঞ্জ উপজেলার তালিকাভুক্ত ৪৯৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৪৯৮ টি পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে গৃহনির্মাণ করা হয়। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হয়েছে। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে এসব বাড়িতে।
সারাবাংলা/এমও