রাজধানীর প্রবেশমুখে পানি ছিটানোর নির্দেশ
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:০২
ঢাকা: ধুলার দূষণ রোধে রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ঢাকার রাস্তায় ওপর থেকে পানি ছিটাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; যাতে রাস্তার পাশের ছোটোখাটো গাছে জমে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার হয়। আর পানির ঘাটতি তৈরি হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে বিচারাধীন একটি রিট মামলায় সম্পূরক আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে হলফনামা আকারে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌফিক এনাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আদালত ধুলার দূষণ রোধে রাজধানীর প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে এক মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।’
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ঢাকা ও আশপাশের এলকার বায়ুদূষণ রোধে গত বছর জানুয়ারিতে হাইকোর্ট ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরে ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলে বায়ু দুষণ কিছুটা কমে আসে। শীতকালে বাতাসে ধুলো-বালির পরিমাণ এমনিতেই বেড়ে যায়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত কয়েকমাস বায়ুদূষণ কম ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে আবার দূষণ বেড়েছে। সম্প্রতি বায়ু দূষণে ঢাকার অবস্থান বিশ্বে এক নম্বরে উঠে এসেছে।’
আইনজীবী মনজিল আরও বলেন, ‘৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতার কথা এসেছে। সিটি করপোরেশন বলেছে পানি ছিটানোর গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে পানি ছিটানো সম্ভব হচ্ছে না।’ ফলে ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকার বায়ু দূষণ বন্ধে আরও পাঁচ দফা নির্দেশনা চেয়ে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) একটি সম্পূরক আবেদন করে রিটকারী পক্ষ। তার মধ্যে তিনটি বিষয়ে এদিন আদালত নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।
বায়ু দূষণ বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিবাদীদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিবাদীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ঢাকার সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদফতরে চাহিদা অনুযায়ী অবিলম্বে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন সচিবের প্রতি নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল সম্পূরক আবেদনে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও