টুইটযুদ্ধ: গ্রেটার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের মামলা
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:২৯
বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনের সুইডিশ কর্মী গ্রেটা থুনবারির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ। ভারতে চলমান কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন গ্রেটা। খবর পিটিআই।
I still #StandWithFarmers and support their peaceful protest.
No amount of hate, threats or violations of human rights will ever change that. #FarmersProtest— Greta Thunberg (@GretaThunberg) February 4, 2021
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তার বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে পুলিশ বলেছে, গ্রেটা থুনবারি ফৌজদারি চক্রান্তে যুক্ত এবং ধর্মীয় জিগির তুলে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।
ইতোমধ্যেই, ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগযুদ্ধ। রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিভাজন স্পষ্ট। সরকারের কাছে কৃষকদের এই আন্দোলন কতটা স্পর্শকাতর তার নতুন প্রমাণ দিল্লি পুলিশের আচরণ।
মার্কিন পপ গায়িকা রিয়ানাসহ আন্তর্জাতিক আইকনরা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে মত প্রকাশ করছেন, গ্রেটা থুনবারি তাদের মধ্যে অন্যতম।
Motivated campaigns targeting India will never succeed. We have the self confidence today to hold our own. This India will push back. #IndiaTogether #IndiaAgainstPropaganda
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) February 3, 2021
আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে করা টুইটে ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি নিকটতম ভারতীয় দূতাবাসে বিক্ষোভ করার পরামর্শ দেন গ্রেটা।
এর পরে মামলার খবর প্রকাশিত হলে আরেকটি টুইটার বার্তায় গ্রেটা বলেছেন, তবু কৃষকদের সঙ্গে থাকবেন এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সমর্থন করবেন। কোনো ঘৃণা, হুমকি বা মানবাধিকার লঙ্ঘন তাকে টলাতে পারবে না।
Let us all stay united in this hour of disagreements. Farmers are an integral part of our country and I'm sure an amicable solution will be found between all parties to bring about peace and move forward together. #IndiaTogether
— Virat Kohli (@imVkohli) February 3, 2021
ওদিকে, কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতের নেটিজেনরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। সেলিব্রিটি মহল থেকে কৃষকদের পক্ষে বিপক্ষে গাদা গাদা টুইট শুরু হয়। রাজনৈতিক নেতারাও তাতে যোগ দেন। শুরু হয় বিদেশিদের সমালোচনা। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযথা হস্তক্ষেপ না করার পরামর্শ দিয়ে টুইটযুদ্ধে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। ব্যক্তিবিশেষের টুইটারবার্তার সমালোচনা করে নজিরবিহীনভাবে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। স্পষ্টতই, কৃষকদের আন্দোলন সরকার ও শাসক দল বিজেপিকে ‘বিপদে’ ফেলেছে।
সারাবাংলা/একেএম