স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ, বিচার চাইলেন মা
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৫৮
ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মাহমুদা আক্তার বিথি নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা রওশন আরা। দীর্ঘদিন ঘুরেও মেয়ে হত্যার কোনো বিচার পাননি, এমনকি থানায় মামলা পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা রওশন আরা এ অভিযোগ করেন।
ঘটনার বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মেয়ে মাহমুদা আক্তার বিথি ধলপুর কিন্ডারগার্টেন হাইস্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। গত বছরের ১৪ আগস্ট বিকেলে আমার মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যায়। পরে তাকে অনেকবার ফোন করলেও ধরেনি। একপর্যায়ে রাসেল নামে এক ছেলে ফোন রিসিভ করে জানায় বিথি এক্সিডেন্ট করেছে। তখন আমরা দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে বিথি। তখন তার বন্ধুরা উপস্থিত ছিল। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে রাসেল জানায় মুগদা থেকে রিকশায় আসার পথে সিএনজির ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, পরে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা আমার মেয়েকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রেফার্ড করে। ১৬ আগস্ট রাত ১টায় সেখানকার চিকিৎসকরা আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে বিথির বন্ধু চৈতিকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, তারা মোটরসাইকেলে হাতিরঝিলে ঘুরতে গিয়েছিল। নাইম নামের এক ছেলের মোটরসাইকেলে উঠেছিল বিথি। একপর্যায়ে বাইক থেকে তাকে ফেলে দেয় নাইম। এতে গুরুতর আহত হয় বিথি। ঘটনাস্থল থেকে বিথিকে চৈতি ও রাসেল ঢাকা মেডিকেলে নিলেও নাইম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করে এজাহারে। কিন্তু এটা হত্যাকাণ্ড। বারবার পুলিশকে বলা হলেও তারা নিজেদের ইচ্ছায় মামলার এজাহার তৈরি করেছে। ওই তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। পরে ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিথির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের খালা ঝর্না আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ