বেরোবি প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:২১
রংপুর: আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশে জারি করা নিষেধাজ্ঞার নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে বড় ধরনের আন্দোলনে নামবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও নীল দল নোটিশ প্রত্যাহারের দাবিতে একটি মিছিল বের করে। মিছিলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ‘যিনি বা যাঁরা প্রতিদিন আইন ভঙ্গ করে চলেছেন, তারাই আবার বেআইনিভাবে তথাকথিত আইন তৈরি করার কথা বলছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার বছরের পর বছর অনুপস্থিত। তারা নিজেরাই রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে চলেছেন, প্রতিষ্ঠানের সকল আইন-রীতি ধ্বংস করছেন। তাদের এইসব হটকারী সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।’
এসময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ প্রত্যাহার না করা হলে আগামীকাল থেকে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্ট। এছাড়াও ভিসিবিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ এক প্রতিবাদ লিপিতে এ ঘটনাকে বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী ও সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়ে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা, শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ৩১ জানুয়ারি এক নোটিশে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, ভিসির বাংলো, একাডেমিক ভবন এবং শ্রেণিকক্ষের সামনে মিছিল-মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ প্রদর্শন, স্লোগান, বক্তব্য প্রদান ও মৌন মিছিলসহ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তালা লাগানোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করার ঘটনায় সরকারের সর্বোচ্চ মহলে বেশ সমালোচনা হয়। এরপর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এজন্য অন্যান্য মহলের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে-এমন বিষয় বোঝাতেই এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এমও