‘করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলুন’
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৪৬
ঢাকা: ভ্যাকসিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই কোভিড-১৯ থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। আর ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সারাবাংলা.নেটের বিশেষ আয়োজন সারাবাংলা ফোকাসে অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের এ পর্বের বিষয় ছিল ‘করোনার ঝাঁকুনি এবং ভ্যাকসিন প্রতিক্রিয়া’। সারাবাংলা.নেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এম এ কে জিলানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম এবং নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন লার্নিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাসুদুল হাসান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অধ্যাপক ডা. তারেক আলম বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশে করোনার পরীক্ষা কম হচ্ছে, তারপরও এদেশে সংক্রমণের হার কম, কমে আসছে মৃত্যুর হারও। এটি শুভ লক্ষণ।’
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
করোনার ওষুধ হিসেবে বাংলাদেশে আইভারমেকট্রিন খুব ভালো কাজ করছে এবং এর মাধ্যমে সারাবিশ্ব উপকৃত হয়েছে বলে জানান সারাবাংলা ফোকাসের অতিথিরা। তাই ভ্যাকসিন গ্রহণের আগ পর্যন্ত করোনার ওষুধ হিসেবে আইভারমেকট্রিন খাওয়ার পরামর্শ তাদের। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী তা খেতে হবে বলেও জানান তারা।
করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া বা না নেওয়া প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডাক্তার মাসুদুল হাসান বলেন, ভ্যাকসিন অবশ্যই নেওয়া উচিত। কারণ ভ্যাকসিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন ডাক্তার তারেক আলমও। তবে গর্ভবতী নারী ও ১৮ বছরের নিচের শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। তাই তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং প্রয়োজনে আইসোলেশনে যেতে হবে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিন আমদানি নিয়ে অতিথিরা বলেন, বেসরকারি পর্যায়েও বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের কার্যক্রম খুবই শক্তিশালী। তবে করোনার টিকা বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
ভ্যাকসিনই পৃথিবীকে আশার আলো দেখাবে বলে মন্তব্য করে মাসুদুল হাসান বলেন, তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধে মাস্কই প্রথম ভ্যাকসিন। এটি ভাইরাস থেকে মানুষকে ৮০ ভাগ সুরক্ষা দেয়।
ডা. তারেক আলম বলেন, ভ্যাকসিন আর আইভারমেকট্রিন গ্রহণ করি বা না করি, ২০২২ সালের প্রথম পর্যন্ত মাস্ক পরতেই হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে থেকে ঘুরে এসে সরাসরি বয়স্কদের সঙ্গে দেখা করা যাবে না।
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের কাজের ভুয়সী প্রশংসা করেন সারাবাংলা ফোকাসের অতিথিরা। বলেন, স্বল্পতার মধ্যেও এদেশের ডাক্তার, নার্স যেভাবে কাজ করেছে, সেজন্য তাদের স্যালুট।
করোনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে বলেও জানান তারা। বলেন, মানুষ একটু সচেতন হলে ও নিজের নৈতিক চরিত্র ঠিক করতে পারলে, বাংলাদেশ পৃথিবীতে অনেক ভালো অবস্থানে যেতে পারবে।
সারাবাংলা/এসএসএস
অধ্যাপক ডা. তারেক আলম অধ্যাপক ডা. মাসুদুল হাসান আইভারম্যাট্রিন করোনা করোনা ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন মাস্ক সামাজিক দুরত্ব সারাবাংলা ফোকাস স্বাস্থ্যসুরক্ষা