চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রথমদিনে চট্টগ্রামে এক হাজার ৯০ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরীতে ৪২৩জন এবং জেলার ১৪টি উপজেলায় ৬৬৭ জন টিকা নিয়েছেন।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে বন্দরনগরীতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। পরে উপমন্ত্রী নওফেল চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালেও গিয়ে করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রথমদিন চমেক হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালসহ নগরীর ছয়টি কেন্দ্রে ৪২৩ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে ২৩৫ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৪০ জন, নৌবাহিনী হাসপাতালে ৫০ জন, বিমানবাহিনী হাসপাতালে ৫০জন, চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৮জন এবং বিএমএ ভাটিয়ারির একটি কেন্দ্রে ২০জন টিকা নিয়েছেন।
সোমবারে নগরীর নতুন আরও চারটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, মোহরা এলাকার ছাফা মোতালেব জেনারেল হাসপাতাল, সিটি গেইট এলাকার মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল এবং বন্দরটিলা এলাকার বন্দরটিলা মাতৃসদন হাসপাতাল। প্রথমদিন যারা টিকা নিয়েছেন তাদের চার সপ্তাহ পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেলিম আক্তার।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, রোববার একদিনে শুধু চট্টগ্রাম নগরীতে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় রোববার করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন ৬৬৭ জন। এর মধ্যে ৪৮৭জন পুরুষ ও ১৮০জন মহিলা।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, টিকা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় নিবন্ধন করেছেন সাত হাজার ৬৬০জন। এর মধ্যে ৬৬৭জন প্রথমদিনে টিকা দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় ৫০ জন, সীতাকুণ্ডে ৩৯, সন্দ্বীপে ২০, ফটিকছড়িতে ১৮, হাটহাজারীতে ১৫০, রাউজানে ১০, রাঙ্গুনিয়ায় ৭০, বোয়ালখালীতে ৫০, পটিয়ায় ৭০, আনোয়ারায় ৭০, চন্দনাইশে ২০, সাতকানিয়ায় ৪০, লোহাগাড়ায় ২০ এবং বাঁশখালীতে ৪০ জন টিকা নিয়েছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি করোনার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, প্রায় তিন লাখ ভ্যাকসিন উপজেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলো নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রের জন্য রাখা হয়েছে।