সারাদেশের টিলা রক্ষায় হাইকোর্টের রুল
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:০৬
ঢাকা: সারাদেশের টিলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মলাংগি টিলা কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আমাতুল করিম।
পরে আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদি সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ রিট করেন মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরি এবং একলাছ উদ্দিন ভুইয়া।
রুলে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। ওই আইনের ১৫ ধারা অনুসারে কেউ টিলা কর্তন করলে তার দুই বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে।
অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে মলাংগি টিলার একটি বড় অংশ কেটে রাস্তা নির্মাণ ও মাটি বিক্রি করলেও আইনানুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শুনানি শেষে তিনি জানান, সারাদেশের টিলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। টিলা সঠিকভাবে সংরক্ষণ, কেউ টিলা কাটলে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কোনো এলাকায় টিলা কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি কর্মকর্তাকে দায়ী করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মলাংগি টিলা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সারা দেশের টিলা রক্ষায় মনিটরিংয়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য কেবিনেট ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পরিপত্র জারির জন্য নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই