ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির প্রথম দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে ২১ জনের সামান্য জ্বর, ভ্যাকসিনদান স্থানে হালকা ব্যাথা ও লাল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শতকরা হিসাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার ০.০৬৭ শতাংশ। যা যেকোনো ভ্যাকসিনর ক্ষেত্রেই এক স্বাভাবিক চিত্র। বাকিরা পুরোপুরি স্বাভাবিক আছেন।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ভ্যাকসিন নিয়েছেন নয় হাজার ৩১৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছে পাঁচ হাজার ৭১ জন। ঢাকা মহানগরীর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৪৭টি ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগরীতে সাতজন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, ঢাকা বিভাগে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ২১ জন আর নারী দুই হাজার ২৯৩ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এদের সাত জন রাজধানী ঢাকার।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ছয় হাজার ৪৪৩ জনকে। এর মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৯৪৪ ও নারী এক হাজার ৪৯৯ জন। এদের মধ্যে পাঁচ জনের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
রাজশাহী বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছে তিন হাজার ৭৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৯০৯ ও নারী ৮৪৮ জন। এদের মধ্যে চার জনের মধ্যে দেখা দিয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
খুলনা বিভাগে তিন হাজার ২৩৩ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। এদের দুই হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ, নারী ৭৭০ জন। সিলেট বিভাগে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে দুই হাজার ৩৯৬ জনকে। এদের মধ্যে পুরুষ একহাজার ৭৪৭, নারী ৬৪৯। এই দুই বিভাগে একজন করে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়াও বরিশাল বিভাগে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৪১২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ১২৩, নারী ২৮৯। রংপুর বিভাগে ভ্যাকসিন পেয়েছেন দুই হাজার ৯১২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২৭৮ জন, নারী ৬৩৪ জন।
এই দুই বিভাগে কারো মাঝেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায় নাই বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে সারা দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর পরপরই বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়।