জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন দস্তগীর গাজী দম্পতি
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:০৩
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি)। এদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্যাকসিন নিয়েছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারপতি এবং আমলারা।
তবে, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে প্রথম সস্ত্রীক ভ্যাকসিন নিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌর মেয়র হাছিনা গাজী। দেশের প্রথম জনপ্রতিনিধি দম্পতি হিসেবে তারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সুস্থ আছেন জানিয়ে দেশের সকলকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এবং হাছিনা গাজী।
ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে গোলাম দস্তগীর গাজী সারাবাংলাকে বলেন, “আমি ভ্যাকসিন নিতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে ভ্যাকসিন আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন। তিনি আমাদের ভালোবাসেন বলেই, অনেক দেশের আগেই আমাদের এখানে ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছেন। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “সকলের আগ্রহ সহকারে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত। আমি ও আমার স্ত্রী আজ এসেছি ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে। আমরা শুরুতেই এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে চাই। সবাইকে দেখাতে চাই, এ ভ্যাকসিন নিরাপদ, কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব, আপনারা নিশ্চিন্তে ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।”
এ সময় রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী সারাবাংলাকে বলেন, ১১ মাস পুরো বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এখনো লড়াই করছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়েছে। পুরো বিশ্বে অনেক দেশ এখনো যেখানে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পারেন না সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। তিনি এই ভ্যাকসিন এনেছেন দেশবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখার জন্য। একজন নাগরিক হিসেবে আমি তাই প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞ। একইসঙ্গে, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই ও দোয়া কামনা করি যেনো প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘায়ু লাভ করেন। আমি আশা করি দেশের সবাই ভ্যাকসিন নিবে। কারণ এটি নিরাপদ ও কার্যকর।
এদিকে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভ্যাকসিন কার্ডে স্বাক্ষর করে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে ভ্যাকসিন নিতে কেন্দ্রের দিকে যান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার লেলিন, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক সিয়ামসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সে সময় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং ১১ টা ৫০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সারাবাংলাকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা ৯ মাস লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম দেশের জন্য। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন আমরা আরেকটা যুদ্ধে আছি যেখানে লড়াই করতে হচ্ছে করোনাভাইরাস নামের অদৃশ্য শত্রুর বিপক্ষে। পুরো বিশ্বে প্রায় ১১ মাস ধরে লড়াই করে এখনো ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করছে। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বগুনের কারণে অনেক আগেই ভ্যাকসিন পেয়ে গেছি দেশে। আশা করছি দেশের মানুষ সবাই ভ্যাকসিন নেবেন।”
সারাবাংলা/এসবি/একেএম
গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক নভেল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন হাছিনা গাজী