ডিবি পরিচয়ে অপরাধ: সিএমপির ৬ কনস্টেবল গ্রেফতার
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের আনোয়ারায় গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে একজনকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের ছয় কনস্টেবলকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) স্পেশাল আর্মড ফোর্স (এসএএফ) এসএএফ শাখার কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে হাজিরের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ন কবির।
ছয় কনস্টেবল হলেন আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ এবং মোর্শেদ বিল্লাহ। এদের সবার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে মোর্শেদ বিল্লাহ সিএমপি কমিশনার সালেহ মো. তানভীরের দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর দুইমাস আগে তাকে বদলি করে এসএএফ শাখায় পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) আমির জাফর সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতারের পর ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
ঘটনার শিকার ব্যক্তি মো. আব্দুল মান্নান চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ গ্রামের বাসিন্দা। ডিবি পরিচয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে রোববার তিনি আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে চারটি মোটর সাইকেলে করে আটজন লোক তাদের বাড়িতে যায়। ডিবি পরিচয়ে তাকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে পটিয়া উপজেলার ভেল্লাপাড়া ব্রিজের পূর্বপাশে কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথায় একটি চা দোকানে নিয়ে যায়।
সেখানে গিয়ে আব্দুল মান্নানকে তারা জানায়, মান্নানের বিরুদ্ধে ডিবিতে অভিযোগ আছে। এর থেকে অব্যাহতি পেতে হলে তাকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। রাতভর ‘দর কষাকষির’ পর ভোর ৫টার দিকে আত্মীয়ের মাধ্যমে এক লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এনে তাদের হাতে দেন মান্নান। এরপর তারা মান্নানকে সেখানে রেখে চলে যায়।
পুলিশকে মান্নান জানান, আটজনের মধ্যে একজনের গায়ে ‘ডিবি’ লেখা জ্যাকেট ছিল। পরস্পরের সঙ্গে আলোচনায় একজনকে তিনি মোরশেদ নামে ডাকতে শুনেছেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার আব্দুল মান্নান মামলা দায়েরের পর আনোয়ারা থানা পুলিশ নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে। এরপর সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে