মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক স্থগিত করল নিউজিল্যান্ড
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:৫৫
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারে সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামরিক চুক্তি স্থগিত করল নিউজিল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পাশাপাশি দেশটির সামরিক সরকার উপকৃত হয়, এমন সব ধরনের প্রকল্প স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন।
মিয়ানমারের নির্বাচিত নেতাদের মুক্তি ও বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে পৃথক এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা বলেন, সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের বৈধতা নিউজিল্যান্ড স্বীকার করে না।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্লামেন্টে যাওয়ার দিনেই দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিসহ গ্রেফতার করা হয় দলের শীর্ষ নেতাদের।
২০১১ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরুর আগ পর্যন্ত অর্ধশতক মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শাসনেই ছিল। সে সময় দীর্ঘ ১৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখা হয় সু চিকে। গৃহবন্দি থাকাবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অহিংস লড়াইয়ের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। এরপর তার দল এনএলডি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে ২০১০ সালে, মুক্তি পান সু চি।
২০১২ সালের উপনির্বাচনে ৪৫ আসনের মধ্যে ৪৩টিতে জয়ী হয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী হয় সু চির দল। এর পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। সেই সরকারের মেয়াদ শেষে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি বড় জয় পায়।
কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। তার পর থেকেই দেশটিতে ফের সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা করা হচ্ছিল।
সারাবাংলা/এএম