বিচার ব্যবস্থার দক্ষতা ও অখণ্ডতা বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ উদ্দেশ্যে নতুন এক সেট খসড়া আইন অনুমোদনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে লিখিত আইনের দিকে যাত্রা শুরু করবে সৌদি আরব। খবর রয়টার্স।
এখনো সৌদি আরবের কোনো লিখিত সমন্বিত আইনি পদ্ধতি নেই। রক্ষণশীল দেশটিকে আধুনিকতার পথে নিয়ে আসতে ধারাবাহিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছেন যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এসপিএ যুবরাজের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, পারিবারিক আইন, নাগরিক লেনদেন আইন, বিবেচনামূলক নিষেধাজ্ঞা আইন ও সাক্ষ্য আইন এই চারটি নতুন আইন বর্তমানে চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এগুলো মন্ত্রিসভা, প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি শুরা কাউন্সিলের কাছেও জমা দেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, নতুন সংস্কার নতুন ধারার প্রতিনিধিত্ব করে। এর মাধ্যমে মামলার রীতি ও তদারকির পদ্ধতিগুলোর নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। আর ন্যায়বিচারের নীতিগুলো অর্জনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখবে।
এ ব্যাপারে সৌদি আরবের একজন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শীর্ষ আন্তর্জাতিক মান ও অনুশীলন অনুযায়ী চারটি প্রধান ও মূল আইনের পরিষ্কার লিখিত ভাষ্য নির্ধারণের মানে হচ্ছে, সৌদি আরব আধুনিক বিশ্বের চাহিদা মেটাতে ইসলামিক শরিয়া নীতি মেনে অবশ্যই সমগ্র আইনের লিখিত ভাষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
কোনো লিখিত আইন না থাকায় কয়েক দশক ধরে নির্দিষ্ট ঘটনাগুলোর বিষয়ে আদালতের রায়গুলোর মধ্যে ফারাক দেখা যাচ্ছে আর মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে, এতে অনেক সৌদি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি।