সাতক্ষীরায় জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার রায়ে ১৭ আসামির সাজা
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:২১
সাতক্ষীরা: ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এ সময় সাতক্ষীরার পাঁচটি স্থানে হামলার পাঁচ মামলায় ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। ১৯ আসামির মধ্যে একজন মারা গেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন একজন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আটজনকে পৃথক মামলায় সর্বোচ্চ ১৩ বছর ও ৯ জনকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত অসামিরা হলেন— মনিরুজ্জামান, নুর আলী, গিয়াস উদ্দিন, ইসমাইল হাবিবুর, বিল্লাল হোসেন, মুনতাজ, মাহববর রহমান লিটন, রাকিব হোসেন, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আসাদুর রহমান, আনিসুর রহমান, আলমগীর হোসেন, নাসির উদ্দিন এবং পলাতক আসামিরা হলেন, ফখরুদ্দিন রাজি, আসাদুজ্জামান ও নাঈমুদ্দিন।
সাতক্ষীরার পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, ২০০৫-এর ১৭ আগস্ট শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে এই বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানো হয়। ঘটনার দিনই সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বোমা হামলাকারী দলিলউদ্দিন দফাদারের ছেলে নাসিররুদ্দিন দফাদারকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়। এই সূত্র ধরে ভারতীয় নাগরিক গিয়াসউদ্দিনসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানায় তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়।
২০০৬ সালের ১৩ মার্চ সিআইডি সবগুলি মামলায় ১৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। সেবছরই মামলাগুলো খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানো হয়। যথাসময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৭ এর ২৫ জুন মামলাগুলো খুলনা থেকে ফেরত আসে সাতক্ষীরায়। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়। সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়েরকৃত মামলাটিরও ২০০৮ সালে বিচার শুরু হয়।
আসামিদের মধ্যে শায়খ রহমান, বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে এসব মামলার আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এছাড়া ছয়টি মামলার মধ্যে একটি মামলায় সকল আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তারা এই রায়ে সুন্তুষ্টু নয়। তারা ন্যায় বিচার পাননি।
সারাবাংলা/এএম