প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহবান বাংলাদেশের
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৫২
ঢাকা: সুরক্ষিত ও টেকসই পৃথিবী নিশ্চিতে শ্রম, মানবাধিকার ও স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্র্রুয়ারি) দিনগত রাতে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর আওতায় প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং মানবাধিকারের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও তা মোকাবিলায় সম্ভাব্য করণীয়গুলো তুলে ধরা হয়।
‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে শ্রম, মানবাধিকার ও স্বাস্থ্য খাতের অগ্রাধিকারসমূহ’ শীর্ষক ওই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জোড়াল আহবান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং শ্রম, মানবাধিকার ও জনস্বাস্থ্য খাত অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। প্যারিস চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু অর্থায়ন, কার্বন নিঃসরণ প্রশমন ও অভিযোজন কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।’
ওই অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেদ্রোস আদানম গেব্রেয়াসুস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেল সদস্য ও সিভিএফ-এর ‘ভালনারাবিলিটি’ বিষয়ক থিমেটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, মালদ্বীপের বর্তমান স্পিকার, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সিভিএফ-এর ‘অ্যাম্বিশন’ বিষয়ক থিমেটিক দূত মোহাম্মদ নাশিদ, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক উপহাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উপমহাপরিচালক মার্থা নিউটন এবং ইথিওপিয়া, ইতালি, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
ড. টেদ্রোস তার বক্তব্যে বিশুদ্ধ বাতাস, স্বচ্ছ ও নিরাপদ পানীয় জল, খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ বাসস্থান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। জলবায়ু সংকট যথাযথভাবে মোকাবিলা না করা গেলে তার ফলাফল কোভিড-১৯-এর চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ড. টেদ্রোস জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স সংক্রান্ত ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স’ গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সিভিএফ-এর থিমেটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বিপন্ন জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কোভিড-১৯ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, কর্মসংস্থান, মানবাধিকার ও জনস্বাস্থ্য, এই তিন ক্ষেত্রে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রকট হয়ে দেখা দেবে। মানসিক স্বাস্থ্যসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সব ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই