বিআইএফসির সাবেক এমডি ও ভিপিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:২০
ঢাকা: বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (বিআইএফসি) থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বিআইএফসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস সৈয়দ ফাখরি ফয়সলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইনামুর রহমান ও সৈয়দ ফাখরি ফয়সল আগাম জামিনের আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আলমগীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
বিআইএফসি’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একটিতে বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ মেজর (অব.) মান্নানসহ ১১ জনকে এবং অপরটিতে মেজর (অব.) মান্নানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-বিআইএফসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালি, বিআইএফসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফাখরি ফয়সল, সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক অফিসার মো. সৈকত আজাদ ও মাসুদ-উল-রেজা চৌধুরী, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তানিজা মাজেদ, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিজিওনাল ম্যানেজার আফ্রিদা আহসান, ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি গোলাম জিলানী দিদার ও ক্লিক টু ডিজাইনের এমডি মো.নাজমুল বাশার।
এদের মধ্যে শেষের পাঁচজন একটিতে এবং অন্যরা পৃথক দুটি করে মামলায় আসামি।
বিআইএফসি থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ অনিয়মের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সম্পৃক্ততা পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ২০১৫ সালের শেষ দিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদক ও সিআইডিকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনিয়ম ও আত্মসাতের প্রমান পাওয়ায় পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। একটি মামলায় ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ টাকা এবং অপরটিতে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ