ভ্যাকসিনে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসছে: ডব্লিউএইচও
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:০৫
বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর থেকেই মহামারির প্রকোপ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চার সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার কমে আসার ব্যাপারটি বিবেচনায় রেখে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, মহামারি কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। খবর সিএনএন।
বিশেষজ্ঞদের বরাতে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে যে সুফল আসতে শুরু করেছে, তা করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসারই আভাস।
ডব্লিউএইচও করোনা মহামারির সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে, এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার মানুষের। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে সংখ্যা ১০ শতাংশ কম।
এছাড়াও, এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩১ লাখ মানুষের মধ্যে। তার আগের সপ্তাহের চেয়ে এ সংখ্যা ১৭ শতাংশ কম।
তাদের তথ্যে আরও দেখা গেছে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের পর সর্বশেষ সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বিশ্ববাসীর জন্য অনেকটা সুসংবাদই বটে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৩ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে প্রচণ্ড শীতের কারণে মৃত্যু ও সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। তবে বৈশ্বিকভাবে আক্রান্ত-মৃত্যু দুটোই নিম্নমুখী।
ডব্লিউএইচও জানাচ্ছে, ব্রাজিল, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ব্রিটেনে সর্বশেষ সপ্তাহে তুলনামূলক কম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ কমার হার সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। সংক্রমণ কমার হারে সবার পেছনে রয়েছে ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল। এই অঞ্চলে আগের সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে সংক্রমণ কমেছে দুই শতাংশ।
দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত,পাকিস্তানসহ বাংলাদেশেও করোনার প্রকোপ আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভারতে ২০২০ সালের শেষদিকেও যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, সেখানে একদিন আগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারে নেমেছে। আর মৃত্যুও একশর নিচে।
করোনার প্রকোপ কমার পেছনে বিশ্বব্যাপী যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি চলছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা ডব্লিউএইচও’র। করোনা সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে অঞ্চলে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। তবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় আনার বিকল্প নেই বলে জানান সংস্থাটির প্রধান।
সারাবাংলা/একেএম
কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ভ্যাকসিন