জার্মানিতে রাজনীতিবিদদের ওপর হুমকি বাড়ছে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:২৭
জার্মানিতে রাজনীতিবিদদের ওপর নিপীড়নের হুমকি ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে শতকরা নয় ভাগ বেড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ, ঘৃণা ছড়ানো ছাড়াও দলীয় ভাঙচুর, দেয়াল লিখন, অগ্নিসংযোগ এমন কিছু শারীরিক হামলার ঘটনাও এর মধ্যে রয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হয় উগ্র ডানপন্থিদল এএফডি। নিপীড়নের শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আঙ্গেলা মেরকেলের দল এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রিন পার্টির সদস্যরা।
এ ব্যাপারে ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ প্রধান হলগার ম্যুনশ স্থানীয় একটি পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহামারিকালে রাজনীতিবিদ, ভাইরোলজিস্ট এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে।
এএফডি দলের সদস্য মার্টিন হেস ডয়চে ভেলেকে বলেন, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে হুমকি বামপন্থি উগ্রবাদী রাজনৈতিক দলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক আইনের শাসনের জন্য অপমানজনক। যার ফলে রাজনীতিবিদরা নিয়মিত গাড়ি, অফিস এবং অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে হামলার মুখোমুখি হচ্ছেন।
এদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বাড়তে থাকায় জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ারসহ শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিক জার্মান সংস্কৃতির এই অবক্ষয়ের নিন্দা করেন।
এসপিডি দলের মুখপাত্র উটে ফোক্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, তিনি মনে করেন রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য সবসময়ই শক্তিশালী নার্ভ দরকার। তবে মানুষের প্রতি সম্মান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বর্তমানে তা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
গ্রিন পার্টির পলিসি মুখপাত্র ইরেনে মিহালিক এ প্রসঙ্গে বলেন, বুন্ডেসটাগের সদস্য হিসেবে তুলনামূলকভাবে তারা সুরক্ষিত, তাদের কেউ হুমকি দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে যারা আঞ্চলিক রাজনীতিবিদ এবং দলীয় স্বেচ্ছাসেবী নিয়মিত জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা কম থাকে। তাদের বিপদ বেশি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ক্যাসেলের স্থানীয় সরকার প্রধান ভাল্টার ল্যুবকেকে নিজ বারান্দায় গুলি করে খুন করা হয়। এর আগে, ২০১৫ সালে কোলোনের মেয়র প্রার্থী হেনরিটেকে ছুরিকাঘাত ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/একেএম