সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থ পাচারের রিটের আদেশ ২৮ ফেব্রুয়ারি
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:১৮
ঢাকা: সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার রিটের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। আর দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, ‘সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার রিটের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।’
শুনানি শেষে আইনজীবীরা জানান, সুইস ব্যাংকসহ পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে রিটটি শুনানি হয়েছে। পরে রিটের সংশোধন করার নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়ে আদেশের জন্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস জানান, পানামা পেপারসসহ বিভিন্ন পেপারসে নাম আসায় বাংলাদেশিদের সাজার বিষয়টি রিটে সংযোজন করবো পিটিশনে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে