Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাট-কলা-আম-মাছ রফতানিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার তাগিদ

শাহীনূর সরকার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৯

ঢাকা: গার্মেন্টস ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে। এ ক্ষেত্রে সোনালি ব্যাগসহ পাটজাত নানা পণ্য, কলা, আম, মাছের মতো পণ্য রফতানি করার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে হবে বলে মনে করেন কাডানায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সারাবাংলা ডটনেটের বিশেষ আয়োজন ‘সারাবাংলা ফোকাস’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সারাবাংলা ডটনেটের স্পেশাল করেসপনডেন্ট এমএকে জিলানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের এ পর্বের বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক’।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ-কানাডার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উঠে আসে। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা করেছে কানাডা। বিশেষ করে আমাদের দেশের গ্রামীণ, কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে দেশটির অনেক অবদান রয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আলোচনায় জানান ড. খলিলুর রহমান। বিমান চলাচল শুরু হলে দুই দেশের বাণিজ্য ফের আগের মতো হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

খলিলুর রহমান বলেন, গার্মেন্টস শিল্প ছাড়া অন্যান্য পণ্য যেমন— পাট, মাছ, আম, ফ্রোজেন ফুড ইত্যাদি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে কানাডাসহ বিশ্ববাজারে। কিন্তু বাণিজ্যিক উৎপাদন, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে এখনো এসব পণ্য রফতানি শুরু করা সম্ভব হয়নি।

পাটশিল্পে বাংলাদেশের অনেক বেশি সম্ভাবনা আছে উল্লেখ করে কানাডায় নিযুক্ত এই দূত বলেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে থেকে পাট কিনে আবার সেই পাট দিয়ে বিশ্ববাজারে আমাদের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করছে ভারত। তাই কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এ খাতে বাংলাদেশের অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে। খাতটিতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে সরকার। কানাডাসহ সারাবিশ্বে সোনালি ব্যাগের অনেক চাহিদা আছে। বাণিজ্যিকভাবে এখনো এর উৎপাদন শুরু হয়নি। কিন্তু সোনালি ব্যাগের মাধ্যমে কয়েক লাখ ডলার আয় করা সম্ভব।

এছাড়া বিশ্ববাজারে আম, কলা, চিংড়ির মাথাসহ বাংলাদেশের অনেক পণ্যের বেশ সুনাম রয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ’আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার না থাকায় আমরা পিছিয়ে আছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে হবে।’

খলিলুর রহমান বলেন, কানাডায় বাংলাদেশি পণ্যের অনেক চাহিদা আছে। এসব জায়গায় বেসরকারি রফতনিকারকদেরও যুক্ত করতে হবে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে পণ্যের মান নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ অনেক বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি।

মানি লন্ডারিং নিয়েও অনুষ্ঠানে কথা বলেন খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, কানাডার টরোন্টোতে বেগমপাড়া বলে কোনো পাড়া নেই। মানি লন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া আছে। আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে এবং সেটা প্রমাণিত হলে হাইকমিশন ব্যবস্থা নেবে। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করবে।

সারাবাংলা ফোকাস অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ড. খলিলুর রহমান কথা বলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর দেশে ফেরা নিয়ে। তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য কলঙ্ক। এই কলঙ্কের দাগ যত দ্রুতসম্ভব মুছে ফেলা উচিত। কানাডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমের অধীনে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে বাংলাদেশিদের এ ব্যাপারে সরব হতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

সারাবাংলা/এসএসএস/টিআর

কানাডায় বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান বাংলাদেশ-কানাডা রফতানি সারাবাংলা ফোকাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর