সিরাজগঞ্জ: রেললাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন দুই যুবক ওমর ফারুক ও সাদ্দাম হোসেন। সে সময় তাদের চোখে পড়ে রেললাইনের লোহার পাতের ফাটল। তারা জানতো কিছুক্ষণের মধ্যে সেখান দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন যাবে। কী করবে চিন্তা করছিল, ততক্ষণে দূর থেকে ট্রেন আসার শব্দ শুনতে পায়। আর কোনো উপায় না পেয়ে একখণ্ড লাল কাপড় জোগাড় করে কয়েকজনে মিলে উঁচিয়ে ধরেন। লাল কাঁপড় চোখে পড়ায় সতর্ক সংকেত মেনে ট্রেন থামিয়ে দেন ঢাকা থেকে নীলফামারী গামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের চালক।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর শহরের ঘাটিনা ঢালু একালায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে উল্লাপাড়া স্টেশনের কর্মচারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর প্রায় ২০ মিনিট পর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি ধীর গতিতে পার করেন। পরে সেই ক্রটি সারিয়ে আধাঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
স্থানীয় যুবক ওমর ফারুক জানান, সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তিনি ঘাটিনা ঢালুর রেলপথ দিয়ে হেঁটে শাহজাহানপুর যাচ্ছিলেন চুল কাটার উদ্দেশে। এ সময় তারা ঢাকা-ঈশ্বরদী রেললাইনের একটি অংশে ফাটল দেখতে পান। পরে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ছোট ছেলেদের সহযোগিতায় লাল কাপড় উড়িয়ে চলন্ত ট্রেনটি থামার সংকেত দেন। তা না হলে লাইনচ্যুত হয়ে বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। পরে চালক সংকেত দেখে ট্রেনটি থামিয়ে দেন।
উল্লাপাড়া স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথে উল্লাপাড়া স্টেশনের ঘাটিনা এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখা যায়। এ সময় ফাটলের খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধীর গতিতে পার করা হয়। পরে কন্টোল, পিডব্লিউ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের লোকজনকে বলার পর তারা দ্রুতগতিতে কাজ করে দিয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।