প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: এরশাদ গ্রুপ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:৪৪
ঢাকা: প্রতিপক্ষের হিংসায় ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী। বেসরকারি এবি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রোষানলের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘এবি ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা (ডিএমডি) গুলশান এলাকায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট আমার কাছে বিক্রি করার পরও হস্তান্তর না করে বেআইনিভাবে জোরপূর্বকভাবে ভোগদখল করে আসছে। ফ্ল্যাটটি বুঝে পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর নানা ধরণের তথ্য প্রচার করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। একপর্যায়ে আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষকে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দেয়।’
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করায় দেশের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমাদের অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। বর্তমানে পদ্মা ব্রিজের রেল লিংক প্রজেক্টসহ চিনো-হাইড্রো ইত্যাদি প্রকল্পে আমার প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পাথর সরবরাহ চলমান রয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছি। এ সুযোগে একটি মহল আমাকে আত্মগোপন দেখিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে।’
বিরুদ্ধে চলা সব অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে আমার শত শত কোটি টাকা বিল পাওনা রয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচারের কারণে এ বিল উত্তোলনে অনিশ্চিয়তাসহ প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারাতে বসেছি। অথচ আমি উধাও নই এবং ভবিষ্যতেও উধাও হওয়ার পরিকল্পনা নেই। যেকোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী যা শাস্তি হয় তা মাথা পেতে নেবো। তবুও দেশে থেকে হালালভাবে ব্যবসা করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনো সত্যতা নেই। সংবাদে বলা হয়েছে, আমি বিদেশে পলাতক। আদৌ আমি বিদেশে অবস্থান করিনি। আমি দেশেই আছি। ব্যাংকের ১১৪ কোটি টাকা মেরে দিয়েছে তাও সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন সম্পত্তি মর্টগেজ রেখে ব্যাংক টাকা বিনিয়োগ করেছে। আমাকে নগদ কোনো টাকা দেয়নি।’
সারাবাংলা/ইউজে/এমও