ঢাকা: ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ আর ১৪৮ কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর পাপুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই। অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।