মিয়ানমারের রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান, ইন্টারনেট বন্ধ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:০৪
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জান্তাবাহিনী। বড় বড় শহরের রাস্তায় সাঁজোয়া যান টহল দিতে শুরু করেছে। দেশজুড়ে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি।
গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ সামাল দিতে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই সামরিক জান্তা আমলের একটি আইন পুনরায় জারি করা হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী, রাতে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ওই আইনের বলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কাউকে গ্রেফতার ও বাড়ি তল্লাশি করতে পারবে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উত্তরের রাজ্য কোচিতে একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে সেনা মোতায়েন করার পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা ছিল, সেনাবাহিনী নগরীর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের দখল নিয়েছে।
It's as if the generals have declared war on the people of Myanmar: late night raids; mounting arrests; more rights stripped away; another Internet shutdown; military convoys entering communities. These are signs of desperation. Attention generals: You WILL be held accountable.
— UN Special Rapporteur Tom Andrews (@RapporteurUn) February 14, 2021
ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, কোচির রাজধানী মিতকিনা নগরীতে একটি পাওয়ার প্ল্যান্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়ছে। তবে তারা তাজা গুলি নাকি রাবার বুলেট ছুড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে, ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। যার বিরুদ্ধে টানা ৯ দিন ধরে গণবিক্ষোভ চলছে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা নামার পরপরই বাণিজ্য নগরী ইয়াঙ্গুন, মিতকিনা এবং রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের সড়কে সাঁজোয়া যান চলতে দেখা যায়।
The Travel Advisory for Burma has been updated to "Level 4: Do Not Travel" due to COVID-19 as well as areas of civil unrest and armed conflict. Please read the entire Travel Advisory at https://t.co/OuNxYAHagN. pic.twitter.com/CyFr4422Cu
— American Citizen Services – Burma (Myanmar) (@ACSRangoon) February 13, 2021
মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে আমেরিকানদের ‘নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে’ বলা হয়েছে।মিয়ানমারের সরকারি কর্মীরাও অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে কাজে যাওয়া বন্ধ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কর্মীরা কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় মিয়ানমারের কিছু অঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ইয়াঙ্গুনে রোববার কয়েকশ রেলওয়ে কর্মী কাজে না গিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। পুলিশ তাদের আবাসিক কম্পাউন্ডে গিয়ে কাজে যেতে বলেছে। পরে অবশ্য ভিড় জমে গেলে পুলিশ সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। চিকিৎসকসহ আরও বিভিন্ন সেক্টরের সরকারি কর্মীরা কাজে যওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। জান্তা শাসকরা সরকারি কর্মীদের কাজে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেনাবাহিনী রাতে লোকজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
সারাবাংলা/একেএম
ইন্টারনেট বন্ধ কোচিং মিয়ানমার মিয়ানমারে সামরিক অভিযান রাখাইন রাস্তায় সাঁজোয়া যান সিত্তে