বিআরটিএ-বিবিএসের জরিপে ফারাক থাকলেও সুফল পাওয়ার আশা
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:১৮
ঢাকা: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, বিআরটিএ’র হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর আমরা ৪ লাখ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি। আমাদের জরিপের সঙ্গে বিবিএসের জরিপের কিছুটা ফারাক রয়েছে। তবু আমরা আশা করি এই জরিপ থেকে পাওয়া ফলাফলে আমরা সুফল পাবো।
‘বেসরকারি বাণিজ্যিক যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক সড়ক ও নৌ যান জরিপ ২০১৯’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিআরটিএ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মর্ডানাইজেশন অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস স্ট্যাটিসটিকস প্রকল্পের আওতায় জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘এই জরিপের পরিধি ও বিশ্লেষণে যা দেখছি তা জিডিপিতে বিশেষ অবদান রাখবে। এছাড়া এসডিজির অর্জনেও এই জরিপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমাদের সড়কে অনেক বিশৃঙ্খলা রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি জিডিপি বেজ লাইন তৈরি করছি। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। পরিবহন সেক্টরে যে বিশৃঙ্খলা আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশৃঙ্খলার পেছনে আছে যত্রতত্র গাড়ি নামানো। আজকের এ পরিসংখ্যান আমাদের সঠিক হিসাব দিচ্ছে। এই পরিসংখ্যান আমাদের বলছে এই খাতেও আমরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে নৌ পরিবহন ও সড়কখাতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে এই খাতে জিডিপির অবদান আসছে ৮.০ শতাংশ। আমাদের জিডিপির খাত ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি ঢাকা শহরে এখন অনেক বাস, কিন্তু সে অনুপাতে রাস্তায় কোনো যাত্রী নেই। এই শহরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করতে হবে। আর তার জন্য এরকম জরিপ খুব জরুরি। এই প্রকাশনা আমাদের শুধু জিডিপি নয়, এসডিপিতেও মুখ্য ভূমিকা রাখবে।’
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিবিএসের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য ঘাটতি দূর করতে নানা ধরনের জরিপ করে থাকি। ২০০৯ সালের পর ২০১৯ এ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এই জরিপটি করি। আমরা জিডিপির একটা ভিত্তিবছর করছি। আগে আমাদের জিডিপির ভিত্তিবছর ছিল ২০০৫-০৬। নতুন ভিত্তিবছর ২০১৫-১৬ করার প্রক্রিয়ায় আছি।’
সারাবাংলা/জেজে/এমও