দ্বিতীয় চালানে ভ্যাকসিনের ২০-৩০ লাখ ডোজ আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি এই ভ্যাকসিন প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে আসার কথা থাকলেও এবার ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজই দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নাজমুল হাসান পাপন।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘দ্বিতীয় চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আনা হবে। দ্বিতীয় চালানও এই মাসেই আসবে বলে আশা করছি। ২১ থেকে ২৫ তারিখের কথা বলেছিলাম। ২২ তারিখেই চলে আসবে আশা করছি। প্রতি মাসে তাই হবে।’

তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সিরামের পাঠানোর কথা থাকলেও এবার কম আসছে। এখন একটু কম আসবে। সঠিক পরিমাণটা বলতে পারছি না। তবে ২০-৩০ লাখের মতো হবে। আমাদের ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের কাছে অলরেডি ৬৫ লাখ আছে। ভ্যাকসিন নিয়ে ক্রাইসিস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশে যেখানে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন দিতে পারছে। আমি যে ভ্যাকসিন দিতে পারছি, এতে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। উনার দূরদর্শিতা ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না।’

সরকারিভাবেই যেহেতু পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আসছে, তাই এখনই বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান নাজমুল হাসান পাপন।

উল্লেখ্য, ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২০ লাখ চার হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসে ২১ জানুয়ারি। এর পরে বাংলাদেশ সরকারের কেনা তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের ৫০ লাখ ডোজ দেশে এসে পৌঁছায় ২৫ জানুয়ারি। ২৭ জানুয়ারি দেশে পর্যবেক্ষণমূলকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় ২৬ জনকে। এদিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৬১ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এর পর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়।’

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হবে প্রত্যেককে। সরকার এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিচ্ছে। সরকারের কিনে নেওয়া ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নেতৃত্বাধীন প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকেও সোয়া কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই সেখান থেকে ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

২০-৩০ লাখ ডোজ ২২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালান ভ্যাকসিন