‘পুলিশ ফাঁসিয়ে’ আলোচিত একজনের চোরাচালানের মামলায় কারাদণ্ড
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিথ্যা মামলায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে ফাঁসিয়ে আলোচিত এক ব্যক্তিকে মাদক চোরাচালানের একটি মামলায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ জহির উদ্দিন এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত মো. নুরুল আবছার চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার দক্ষিণপাড়ার বদিউল আলমের ছেলে। নিজেকে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক পরিচয় দিতেন আবছার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানান, ২০১৮ সালের ৩ জুন নগরীর পতেঙ্গা থানার নেভাল সড়ক থেকে ৪০ বোতল বিদেশি মদসহ নুরুল আবছারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পতেঙ্গা থানার এএসআই তরুণ কান্তি শর্ম্মা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে ২০২০ সালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
দণ্ডিত নুরুল আবছার ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। সোমবার রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সহকারী পিপি বিশ্বজিৎ বড়ুয়া।
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে ছয় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন নুরুল আবছার। আদালত দুদককে মামলাটি তদন্ত করতে দিয়েছিলেন। মামলায় নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসি (ঘটনার সময় পতেঙ্গা থানায় ছিলেন) আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রণয় প্রকাশ, এস আই (নিরস্ত্র) আবদুল মোমিন, এএসআই তরুণ কান্তি শর্মা, এএসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই মিহির কান্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
তদন্ত শেষে অভিযোগের সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই