৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য হচ্ছে ‘বীর নিবাস’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৫৮
ঢাকা: ‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না’ সরকার প্রতিশ্রুত এই উদ্যোগের পাশাপাশি এবার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থানের জন্য ‘বীর নিবাস’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রায় ৪ হাজার ১২২ কোটি ব্যয়ে প্রায় ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরি করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। বীর নিবাস প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা প্রান্তে যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সরকার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের জন্য পাকাবাড়ি নির্মাণ করে বরাদ্দ দেবে। জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজে রাঙানো এসব বাড়ির নাম দেওয়া হবে ‘বীর নিবাস’।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। এরই এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে কল্যাণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছিলেন আজ তা পূর্ণতা পেয়েছে। আপনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।’
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদান স্বীকৃতিস্বরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরিদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় নানা ধরনের কল্যাণমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলেও অবহিত করেন সচিব। তিনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানী ভাতা প্রদান, তাদের আয় বৃদ্ধির জন্য সকল জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আপনার উচ্চারিত স্লোগান, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এর প্রতিধ্বনি তুলে আমরাও বলতে চাই, মুজিববর্ষে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জীর্ণ ঘরে থাকবেন না। এজন্য অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্প ‘বীর নিবাস’ হাতে নেওয়া হয়েছে। ৪ হাজার ১২২ কোটি ব্যয়ে ৩০ হাজার গৃহ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’
এদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে জিটুপি পদ্ধতিতে সরকারি ভাতা প্রদানের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্যোগের ফলে সম্মানী ভাতাভোগী উপকারকারীরা প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি এক নিমিষে তাদের ব্যাংক হিসাবে ভাতা পেয়ে যাবেন।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম