ষষ্ঠ দলে ১০১১ রোহিঙ্গা গেল ভাসানচরে
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:৪৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিয়ানমারে সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া আরও এক হাজার ১১ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ছয় দফায় সাড়ে ৯ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেল।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ১ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে তিনটি জাহাজ চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা বোটক্লাবসংলগ্ন জেটি ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক।
এর আগে, আরও পাঁচ দফায় আট হাজার ৫৮১ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। ষষ্ঠ দফায় ভাসানচরে নিতে ১ হাজার ১১ জনের রোহিঙ্গা দলকে সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতযাপনের পর মঙ্গলবার ভোর থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের জাহাজে ওঠানো হয়।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ষষ্ঠ দফায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যেই আমরা প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে আরও ৯০ হাজার রোহিঙ্গা নেওয়া হবে।’
এর আগে, প্রথম দফায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন, তৃতীয় দফায় ২৯ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৬৭ জন চতুর্থ দফায় ৩০ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬৭ এবং পঞ্চম দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান আছে কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। ২০১৭ সালের আগস্টে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে, যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তূর ঠিকানা হয় বাংলাদেশ। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সামাজিক নানা সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে নেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার।
১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে প্রায় ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে নৌবাহিনী।
সারাবাংলা/আরডি/এমও