তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন করবে সরকার: পাটমন্ত্রী
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:২৯
কক্সবাজার: তাঁতশিল্প এবং তাঁতিদের উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার বেসিক সেন্টার পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তাঁতশিল্প এবং তাঁতিদের উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। কোন পরিকল্পনা বা নীতিমালা প্রণয়ন করলে তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সেরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মূলধন যোগানের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার কাজ করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তাঁতশিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক। এ শিল্পে প্রত্যক্ষ প্রায় ৯ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ৬ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বছরে ৪৭ কোটি মিটার কাপড় উৎপাদনের মাধ্যমে তাঁতশিল্প দেশের মোট বস্ত্র চাহিদার প্রায় ২৮ ভাগ পূরণ করে থাকে। তাঁতিদের চলতি মূলধনের চাহিদা মিটাতে ‘তাঁতিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত (ডিসেম্বর, ২০২০) ৪৬,৬৪৫ জন প্রান্তিক তাঁতিকে ৯৬৮৭.৩৫ লাখ (নয় হাজার ছয়শত সাতাশি কোটি) টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু সংলগ্ন মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী। সরকারের পক্ষ থেকে তাতিঁদের সুতা রঙসহ বিভিন্ন কাঁচামালের সুবিধা দেওয়া হবে। নির্মিত হবে আন্তর্জাতিক মানের প্রর্দশনী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
গোলাম দস্তগীর আরও বলেন, দেশের বস্ত্রখাতের অধিকাংশ যোগান আসে তাঁত শিল্প থেকে। তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুঠির শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বশেষ তাঁত শুমারী অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ তাঁত শিল্প যোগান দিয়ে থাকে। এ শিল্পের বার্ষিক উদযাপনের পরিমাণ ৬৮.৭০ শতাংশ। আর জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের দিক থেকে তাঁত শিল্প খাতের অবদান ১২২৭ কোটি টাকা। আরও জানা গেছে, দেশে বিদ্যমান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৬টি। এরমধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটিসহ, সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসজে/এএম