ওয়াজেদ মিয়ার অবদান স্মরণীয় রাখতে প্রতিষ্ঠান গড়ার তাগিদ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:২৫
ঢাকা: বাংলাদেশের বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার যে অবদান, তা স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে প্রতিষ্ঠান গড়ার তাগিদ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বিজ্ঞানীদের যে অবদান, সেখানে ওয়াজেদ মিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর সেই অবদান স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে দেশে আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি করা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া’র ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন বহু গুণে গুণান্বিত। তিনি ছাত্র হিসেবে যেমন অসম্ভব মেধাবী ছিলেন, একইভাবে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেও সামনের সারিতে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অবদান রেখেছেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশের বরেণ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় ওয়াজেদ মিয়া বিদেশে ছিলেন। তাকে দেখার জন্য তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) সেখানে গিয়েছিলেন। সেজন্যই তারা দুই বোন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি প্রবাসে অনেক কষ্ট করেছেন, দেশে আসতে পারেননি।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় জড়িতদের কেউ আইনের বাইরে যেতে পারবে না। যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জড়িত ছিল, কমিশন গঠন করে তাদের চিহ্নিত করে বিচার করাও জাতির নৈতিক দাবি। আমরা সেই নৈতিক দায়িত্ব পালনে কখনও পিছুপা হব না।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গণি মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
আ ক ম মোজাম্মেল হক ওয়াজেদ মিয়া বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়