বেলালকে গ্রেফতার না করলে মতিঝিলের ডিসিকে ঘেরাওয়ের আল্টিমেটাাম
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৪৩
ঢাকা: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। এসময় তারা ‘সন্ত্রাস ও গডফাদার’ বেলালকে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন। হকার্স ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, বেলালকে গ্রেফতার করা না হলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপকমিশনারকে (ডিসি) ঘেরাও করা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি ও আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। এসময় তারা চায়না টাউন মার্কেটের সামনে থেকে উচ্ছেদের শিকার হকারদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুনর্বহালও দাবি করেন। তারা বলেন, হকারদের পেটে লাথি না মেরে সন্ত্রাসী বেলালকে গ্রেফতার করুন।
সমাবেশে হকার নেতারা বলেন, ঢাকা নগরীতে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষ সব ঋতুতেই জনগণের প্রয়োজনীয় দ্রব্য হকাররা সস্তায় ও সহজে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু তাদের জীবন-জীবিকা প্রতিমুহূর্তেই ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এই হকারদের সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন গত এক দশক ধরে হকার আইন প্রণয়নের দাবিবতে ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রাম করছে। হকার নেতারা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হকারদের উচ্ছেদ না করার আহ্বান জানান।
হকার নেতারা আরও বলেন, নয়া পল্টন চায়না টাউন মার্কেটের মালিক (মার্কেট কমিটি) গত ৩০ বছর ধরে হকারদের কাছ থেকে মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে মাসিক ভিত্তিতে টাকা নেয়। হকাররা দোকান চাইতে গেলে উল্টো বেলাল সাহেব ও তার বাহিনী তাদের ৩০ বছরের আত্মকর্মসংস্থান থেকে উচ্ছেদ করেছে, মালামাল লুট করেছে, ভাঙচুর করেছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
হকার্স ইউনিয়নের নেতারা প্রশ্ন তোলেন— হঠাৎ করে ৩০ বছরের কর্ম হারানো এই হকাররা এখন কী করবেন? তারা কোথায় যাবে, কী খাবেন? তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার কী হবে? বৃদ্ধ মাতা-পিতার ওষুধ কে দেবে? বাড়ি ভাড়া, সমিতির কিস্তির কী হবে? এই সমস্যা সমাধানের জন্য নেতারা হকার্স ইউনিয়নের ন্যায়সঙ্গত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন হকার্স ইউনিয়নের সহসভাপতি মঞ্জুর মঈন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা সেকেন্দার হায়াৎ, সহসভাপতি শহীদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা আনিচুর রহমান পাটোয়ারী, শাহিনা আক্তার, আফছার আলী, মো. মাছুম, কবীর হোসেনসহ অন্যরা। সমাবেশে সংহতি জানান ছাত্র, যুব, কৃষক, নারী, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর