Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাতেও আয় বেড়েছে রবির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৩৬

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে রবির রাজস্ব আয় বেড়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। চতুর্থ প্রান্তিকে ১ হাজার ৯২০ কোটি টাকাসহ এ বছর রবির মোট আয় ৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। এ প্রান্তিকের ৩৯ কোটি টাকাসহ ২০২০ সালে রবির কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৫ কোটি টাকায়।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে রবি। অপারেটরটি বলছে, আগের বছরের নামমাত্র মুনাফার পর এ অর্জন আশাব্যঞ্জক।

বিজ্ঞাপন

রবি বলছে, প্রবৃদ্ধির গতিতে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করেছে মোট আয়ের ওপর ন্যূনতম ২ শতাংশ কর। কোম্পানিগুলোর মধ্যে একমাত্র রবিই কোন প্রণোদনা ছাড়া পুঁজিবাজারে প্রবেশ করেছে। তাই ২০২০ সালে কার্যকর করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ৮ শতাংশে।

রবি জানায়, নতুন ১৯ লাখ গ্রাহকসহ ২০২০ সালে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯ লাখে। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। গত বছরের তুলনায় ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ।

কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারির কারণে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের আয় কমলেও পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবেলা করায় রবির আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বছরটি আমাদের জন্য শিক্ষণীয় এবং আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, সঠিক উদ্ভাবনের পথ বেছে নেওয়ায় সামগ্রিকভাবে এ বছর আমাদের অগ্রগতি অসাধারণ। ১৫৫ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফার মাধ্যমে বাজারে আমাদের অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে। তবে মোট আয়ের ওপর ন্যূনতম ২ শতাংশ করের কারণে আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারছি না।

বিজ্ঞাপন

মানসম্মত সেবাদানের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আবারও ১০ বছরের জন্য ১১ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম (৯০০ ব্যান্ড ও ১৮০০ ব্যান্ড) নবায়ন গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবাদানে আমদের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ডিডব্লিউডিএম সরঞ্জাম ব্যবহারের অনুমতির ব্যাপাটি ঝুলে থাকায় আমরা কয়েক হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছি না, যা মানসম্মত সেবার জন্য জরুরি। তবু আমরা বছরজুড়ে ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। ফলে আমাদের সাইটগুলোর ৯৭ দশমিক ৮৬ শতাংশই এখন ফোরজি সাইটে রূপান্তরিত হয়েছে।

বাজারের ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতার বিষয়ে রবির শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, বাজার প্রতিযোগিতায় ভারসাম্য আনার জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা এসএমপি বিধিমালাগুলোর কার্যকর প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছি না। অন্যদিকে আমাদের ০১৬ সিরিজের নম্বার বিক্রি ও পুনরায় বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা দেশব্যাপী গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। এ পরিস্থিতি ভারসাম্যহীন বাজার প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

মোবাইল অপারেটর রবি রাজস্ব আয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর