৩৪ হাজার শিক্ষকের ডিপিএড পরীক্ষা পেছাতে আইনি নোটিশ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৪
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশনের (ডিপিএড) প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা পেছাতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এই আইনি নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর ডিপিএড পরীক্ষা পেছানোর জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (ন্যাপ) মহাপরিচালক বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশদাতারা সবাই ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা হলেন, পাবনা পিটিআইয়ের মো. শাহ আলম, জামালপুর পিটিআইয়ের মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল পিটিআইয়ের মো. রবিউল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পিটিআইয়ের সুজন-উজ জামান, কিশোরগঞ্জ পিটিআইয়ের জহিরুল ইসলাম এবং মাগুরা পিটিআইয়ের মো. নাদিম ইমরান।
নোটিশে বলা হয়েছে, শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে প্রায় ৩৪ হাজার পরীক্ষার্থীর ডিপিএড কোর্সের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীকালে দীর্ঘসময় প্রশিক্ষণ স্থগিত থাকার পরও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গত বছরের ১ জুলাই থেকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ ও পাঠদান শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্বল নেটওর্য়াক বা কোনো কোনো স্থানে নেটওর্য়াক না থাকায় দুর্বল ডাটা কানেকশন দিয়ে বেশিরভাগ প্রশিক্ষণার্থী ভালোভাবে ক্লাস করতে সক্ষম হননি। তাছাড়া অনেক প্রশিক্ষণার্থীর ক্লাস করার মতো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস না থাকায় ও আইসিটিতে দক্ষ না হওয়ায় অনলাইন পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, করোনাকালে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং সারাবিশ্বে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া সকল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অত্যন্ত ভায়াবহ সিদ্ধান্ত। যা সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ভয়াবহ শারীরিক ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। এজন্য পরীক্ষার সময়সূচী পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ