বাবার হাতে ‘জিম্মি’ দুবাইয়ের রাজকন্যা, খতিয়ে দেখছে জাতিসংঘ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:২৬
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের প্রশাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাকতুম তার মেয়ে লতিফা আল মাকতুমকে তিন বছর যাবত জিম্মি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর বিবিসি।
সম্প্রতি বিবিসি প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিজের বন্দিদশার কথা জানান রাজকন্যা লতিফা। এ সময় বাবার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও তোলেন তিনি।
এদিকে, লতিফাকে জিম্মি করে রাখা এবং নির্যাতনের ঘটনায় দুবাইয়ের প্রশাসকের কাছে জবাব চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে, ২০১৮ সালে পারিবারিক ‘নির্যাতনের’ মুখে সাগর পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন রাজকন্যা লতিফা আল মাকতুম। সে সময় বিশ্বব্যাপী ওই ঘটনা আলোচনার জন্ম দেয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কল্যানে স্পষ্ট হতে থাকে বাবা-মেয়ের দ্বন্দ্ব।
ওই ঘটনার প্রায় তিন বছর পর মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিজের বন্দিদশার কথা জানিয়ে ফের আলোচনায় আসলেন দুবাইয়ের রাজকন্যা।
ভিডিও বার্তায় লতিফা বলেন, নৌকাযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় কমান্ডোরা তাকে আটক করেন এবং পুনরায় বন্দিশালায় নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি তার বাবার হাতে ‘জিম্মি’ বলেও দাবি করেন ভিডিওতে। বিবিসি প্রকাশিত ওই গোপন ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
লতিফা বলেন, তিনি জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। ওই ভিলাটিকে বন্দিশালায় রূপান্তর করা হয়েছে। সেখানকার সব দরজা, জানালা বন্ধ। তিনি কোনোভাবেই বাইরের আলো দেখতে পারছেন না। তাকে কোনো ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি তিনি মোবাইলে চার্জ পর্যন্ত দিতে পারছেন না। তাকে কোন অবস্থাতেই বের হতে দেওয়া হয় না। তার দুবাই ছাড়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নতুন এই ভিডিওটি তিনি বাথরুমে বসে ধারণ করেছেন বলে জানান।
বিবিসি বলছে, ভিডিও বার্তাটি রাজকন্যা লতিফা তার বন্ধুদের মাধ্যমে তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ লতিফাকে মুক্ত এবং সুস্থ অবস্থায় দেখতে চায়। এই ইস্যুতে আমিরাতের পদক্ষেপ নিতে হবে।
সারাবাংলা/একেএম