Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যারা নিবন্ধন করেছেন তারা সবাই এসএমএস পাবেন, ভ্যাকসিনও পাবেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৪৬

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রেজিস্ট্রেশনের তুলনায় হাসপাতালের ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় অনেকের এসএমএস পেতে দেরি হচ্ছে। তবে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। দেশে আপাতত ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই, ভবিষ্যতেও হবে না।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ডেন্টাল কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মুজিব কর্নারের উদ্বোধন এবং অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা যখন শুরু করলাম, তখন নিবন্ধনের সংখ্যা কম ছিল। যারা ভ্যাকসিন নিতে আসতে, এমন মানুষের সংখ্যাও কম ছিল। এখন নিবন্ধন অনেক হয়ে গেছে। যেখানে প্রতিদিন ১ হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষমতা আছে, সেখানে প্রতিদিন ৩ হাজার জনের নিবন্ধন হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা দেরি হবে। এ কারণে সময় নিয়ে তারিখ দিচ্ছে। যারা এসএমএস পায় নাই এখনও তারাও এসএমএস পেয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে বয়সসীমা ৫৫ বছর করা হয়েছিল। কিন্তু নিবন্ধন করতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কম থাকায় বয়সসীমা ৪০ বছর করা হয়েছিল। আমরা এটা ৪০ থেকে বাড়িয়ে দেব না। কিন্তু কমিয়েও দেওয়া হবে না। প্রতিটি ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে দৈনিক ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি সক্ষমতা ঠিক করা আছে। কিন্তু প্রতিদিন নিবন্ধন হচ্ছে এর চেয়ে অনেক বেশি। ফলে অনেকের মোবাইলে ভ্যাকসিন দেওয়ার দিন তারিখ জানিয়ে এসএমএস যেতে দেরি হচ্ছে।’

দেশে ৬০০ হাসপাতালে ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্জকমের সঙ্গে যুক্ত আছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে স্থানীয় লোকের হার ও চাহিদা অনুযায়ী প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে এই চাহিদা ও রেজিস্ট্রেশনের হার তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ কারণে কিছু কেন্দ্রে ভ্যাকসিন স্বল্প সময়ের জন্য কমে গেলেও সময় মতো সেখানে চাহিদা মাফিক ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণে ইচ্ছুক যে কোনো ব্যক্তি সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করলে তিনি দুদিন আগে-পরে হোক, ভ্যাকসিন অবশ্যই পাবেন। কোনো কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি হলে সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহণের তারিখ কিছুটা পেছনে চলে গেলেও ভ্যাকসিন পেতে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ শুরুতেই দেশে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আনা হয়েছে। আবার এর মধ্যেই আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দেশে আরও ২৫ লাখ ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন আনা হবে।’

উল্লেখ্য, দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা শুরু হয়। শুরুর দিকে স্পট রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি স্পট রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএমএস দেখে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার নিয়ম করা হলেও অনেকেই নিবন্ধনের পরে এসএমএস না পেয়ে উৎকণ্ঠায় পড়েন।

সারাবাংলা/এসবি/একে

করোনা নভেল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর