দীপন ও অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের রায় দায়মুক্তির পরিবেশের অবসান ঘটাবে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৪৯
ঢাকা: ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় এবং প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। সংগঠনটি মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি সমর্থন না করায় অপরাধDদের সাজা কমিয়ে মানবিক সাজা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন। এটি এই আদালতের দ্বিতীয় রায়। এই সপ্তাহের শুরুতে, একই আদালত ফয়সাল আরেফিন দীপনের হত্যা মামলার রায় দিয়েছিলেন। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের প্রকাশনা সংস্থা থেকে অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছিল।২০১৫ সালে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে তার প্রকাশনা সংস্থা জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘িআমরা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত যে এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা যাতে কেউ তাদের মত প্রকাশ করতে না পারে।তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
এই রায়গুলো এমন এক সময়ে এসেছে যখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি বাংলাদেশের একটি সাধারণ ও অতি পরিচিত ঘটনা , যেখানে বিপুল সংখ্যক অপরাধের শাস্তি হয় না। সাংবাদিক সাগর- রুনি দম্পতির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও শেষ না হওয়া এর বড় উদাহরণ। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ)অধীনে দায়েরকৃত মামলায় সাংবাদিক, ব্লগার, লেখক, কার্টুনিস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করাও গুরুতর উদ্বেগের কারণ।
সম্প্রতি ডিএসএর একটি মামলায় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেছে। কাজল ৫৩ দিন নিখোঁজ ছিলেন এবং যশোরের বেনাপোল সীমান্তের একটি মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করার পর ডিএসএর অধীনে দায়েরকৃত মামলায় ৭ মাস জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে