Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৪২

ঢাকা: খাদ্যের নিরাপত্তা ও গুণগত মান পরীক্ষণের জন্য দেশের ছয়টি বিভাগে ছয়টি গবেষণাগার নির্মাণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহযোগিতায় একটি ভ্রাম্যমাণ গবেষণার নির্মাণের কাজও চলছে বলে জানান তিনি। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান বলে মন্তব্য তার।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে।

দীর্ঘ মেয়াদে উন্নত ও একটি সুস্থ জাতি জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জেলা-উপজেলায় সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, পাবলিক মিটিং, লিফলেট, পোস্টার, বুকলেট, স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রমও পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে ক্যারাভান শো’র মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি।

মন্ত্রী আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্যের অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। দেশের জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার এখন বিস্তৃত পরিসরে কাজ করছে। দেশের প্রতিটি জেলায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলা কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য মনিটরিং ব্যবস্থা তৃণমূল পর্যন্ত জোরদার করা সম্ভব হয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত, ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারের আমলে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের আওতায় একটি জাতীয় বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হয়। ১৮টি মন্ত্রণালয় ও ৪৮৬টি সংস্থা এ কর্মযজ্ঞে যুক্ত। খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি অংশীজনের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল রোধে সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।

এ সময় মন্ত্রী সবাইকে সচেতন ও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রতিটি পেশার মানুষ, সর্বোপরি সব জনগণকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন ও আন্তরিক হতে হবে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করে দেশের জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর