সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সেনা কর্মকর্তার সাক্ষ্য
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:৪৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা, জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে এ সাক্ষী তার জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। তার জেরা শেষ হওয়ার পরবর্তী সাক্ষ্য জন্য আগামী ১০ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।
জবানবন্দি দেওয়ার সময় মনোয়ার আদালতকে বলেন, আমার বোন ও বোনজামাই করোনা আক্রান্ত কি না সেটার জন্য জেকেজিতে পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষা শেষে তাদের দুইজনেরই পজেটিভ ধরা পড়ে।পরীক্ষা করানোর জন্য তাদেরকে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিছুদিন পর আমার বোনজামাই মারা যান। মারা যাওয়ার পরে আমি জানতে পারি বোনজামাইয়ের করোনাভাইরাস ছিলো না। সে অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
চার্জশিটভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে এ আট জনই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষ হওয়ায় গত বুধবার (৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এ চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/এসএসএ